অর্থমন্ত্রী বেসিক ও পদ্মা ব্যাংক একীভূত করার পক্ষে

ব্যাংকবীমাবিডি || ২০২১-০৯-২৯ ০৯:২১:২৬

image

সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে সরকারি মালিকানাধীন বেসিক ও পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার পক্ষে মত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রী।

বেসিক ও পদ্মা ব্যাংক মার্জারের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংক মার্জার হবে। এটা ড্রাফ পর্যায়ে আছে, আমরা সংশোধনী নিয়ে আসব। সেখান থেকে এটা অনুমোদন করব। সকল প্রসেসিং সম্পন্ন হওয়ার পর মার্জার কার্যক্রম নিশ্চিত হবে। আমরা ব্যাংক মার্জারের পক্ষে। মার্জার কীভাবে হবে সেই বিষয়ে কাজ করছি।

পদ্মা ব্যাংক মার্জারের জন্য আবেদন করেছে। তারা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সঙ্গে মার্জার করতে চায়। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি এখনো আবেদনটি পাইনি। পদ্মা ব্যাংক সম্পর্কে আপনাদের জানা আছে। পদ্মা ব্যাংকের ওনারশিপে আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো জড়িত আছে। সোনালী, রূপালি বলেন সবগুলো ব্যাংকেরই শেয়ার আছে। তারা সেইভাবেই ব্যাংকটি পরিচালনা করছে। যে বোর্ড আছে সেখানে সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের প্রতিনিধি আছে। আমরা অবশ্যই প্রস্তাব বিবেচনা করব।

পদ্মা ব্যাংকের মার্জার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে যারা পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারা সুন্দরভাবে সেটা চালাতে পারেননি। সেখানে অনেক দুর্নীতি হয়েছে আপনারা জানেন। বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় আপনারা দেখেছেন আমরাও শুনেছি। কী কারণে দুর্নীতি হয়েছে আমরা এখনো জানতে পারিনি। যারা অন্যায় করেছে দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সরকারের আর কী করার আছে? যারা অন্যায় করবে অপরাধ করবে, আমাদের যে আইনি প্রক্রিয়া সেই পথেই আমাদের চলতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা তাদের সোপর্দ করেছি এবং তারা জেলে আছে।

তিনি বলেন, ব্যাংকটিতে যারা শেয়ারহোল্ডার আছেন মানে যারা টাকা রেখেছেন ও ঋণ নিয়েছেন তাদের দিকও আমাদের দেখতে হবে। সে জন্য ব্যাংকটি যাতে বন্ধ না হয়ে যায় সেই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। ব্যাংকটি চলমান রাখা হয়েছে। ব্যাংকটি চলমান রাখার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এগিয়ে এসেছে।

পদ্মা ব্যাংকে বিদেশি ফান্ড পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের আবেদন পাইনি। সবাই তো চেষ্টা করতে পারে বিদেশ থেকে টাকা আনতে। তারা যদি উপযুক্ত বিনিয়োগ আনতে পারে দেশের আইন কানুন মেনে, তাহলে সেখানে কোনো সমস্যা নেই।

অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com

ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১