পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা এবং তারল্য সংকট কাটাতে ব্যাংকগুলোর গঠিত বিশেষ তহবিলের বিনিয়োগ তথ্য প্রতি মাসে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।
বিশেষ তহবিলের বিনিয়োগ তথ্য এতদিন ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী দাখিলের নিয়ম ছিল। যা প্রতি তিন মাস শেষে পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে এ বিবরণী জমা দিতে হতো। পূর্বের জারি করা এ সংক্রান্ত সার্কুলারের অন্যান্য শর্ত ও নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে বলে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
কেন্দ্রয়ী ব্যাংকের নির্দেশনায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিশেষ তহবিল গঠন এবং বিনিয়োগের নীতিমালা প্রসঙ্গে গত ১০ ফেব্রুয়ারি জারি করা সার্কুলারের প্রতি ব্যাংকগুলোকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এর আগে পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটাতে বিশেষ তহবিল গঠনের জন্য গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা হয়, এখন থেকে যেকোনো ব্যাংক তার নির্ধারিত সীমার বাইরেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার ‘বিশেষ তহবিল’গঠন করতে পারবে। অর্থাৎ একটি ব্যাংক তাদের মোট মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারবে না। আর এ ২০০ কোটি টাকা ওই ২৫ শতাংশের আওতামুক্ত থাকবে। ব্যাংকগুলো ইচ্ছে করলে তাদের নিজস্ব উৎস থেকে তহবিল গঠন করতে পারে। আবার তাদের হাতে থাকা ট্রেজারি বিল ও বন্ড বন্ধক রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কম সুদে ধারও নিতে পারবে।
গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংক এ তহবিল গঠন করেছে। অংকে যার পরিমাণ তিন হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। তবে এর পুরোটা এখনো বিনিয়োগ করা হয়নি। এর মধ্যে শেয়ার কেনা হয়েছে এক হাজার ৭৩৭ কোটি টাকার। ব্যাংকগুলোর কাছে এখন আছে এক হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি জারি করা সার্কুলারের অন্যান্য শর্ত ও নির্দেশনাবলী অপরিবর্তিত থাকবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১