বাংলাদেশ ব্যাংক বিল নিলামের মাধ্যমে প্রথম দিন বাজারের অতিরিক্ত তারল্য থেকে ২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে গতকাল সোমবার থেকে এ নিলামের আয়োজন শুরু করে ব্যাংক খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এদিন ১ হাজার ৫০৫ কোটি টাকার ৭ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ বিল ও ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার ১৪ দিন মেয়াদের বাংলাদেশ ব্যাংক বিল নিলামে কিনে নেয় ব্যাংকগুলো। ৭ দিন মেয়াদি বিলের সুদহার ছিল শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং ১৪ দিন মেয়াদের বিলের সুদহার ছিল শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।
নিলামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বাংলাদেশে নিবাসী সব ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বিড দাখিল করতে পারলেও ব্যাংকগুলো এ নিলামে অংশ নেয় বেশি। আর আগামী বুধবার ৩০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এ নিলামেও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বাংলাদেশে নিবাসী সব ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বিড দাখিল করতে পারবেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চলতি হিসাব পরিচালনাকারী যে কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব বা তাদের ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী গ্রাহকদের পক্ষে বিড দাখিল করতে পারবেন।
প্রতি ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের (ফেস ভ্যালু) জন্য ডিসকাউন্টে বিলের প্রস্তাবিত ক্রয়মূল্য (অফার প্রাইজ) উল্লেখসহ মোট অভিহিত মূল্য উদ্ধৃত করে ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় নিলামে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত এমআই মডিউলের মাধ্যমে বিড দাখিল করতে হবে। একই দিন নিলাম অনুষ্ঠিত হবে এবং নিলাম ফলাফল দুপুর ২টার মধ্যে ঘোষিত হবে। নিলামে অংশগ্রহণের বিশদ পদ্ধতিগত নির্দেশনা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পত্রযোগে জানানো হয়েছে।
এরপর ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক বিল নিলামেরও লক্ষ্য রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। আগামী ১৬ আগস্ট ৭ ও ১৪ দিন, ২৩ আগস্ট ৩০ দিন, ২৫ আগস্ট ৭ ও ১৪ দিন ও ৩১ আগস্ট ৩০ দিন মেয়াদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের নিলামের দিন ধার্য করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা অতিরিক্ত তারল্য আর্থিক খাতে সমস্যা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিল নিলামের মাধ্যমে এই টাকা তুলে নিলে সমস্যা লাঘব হবে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ সর্বশেষ ব্যাংকগুলো থেকে এভাবে টাকা তুলে নেয়া হয়েছিল।
গত ২৯ জুলাই চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, অতিরিক্ত তারল্য আর্থিক খাতে বুদ্বুদ তৈরি করলে তা তুলে নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। অতিরিক্ত তারল্যের কারণে মূল্যস্ফীতি বা সম্পদের দাম বেড়ে গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নীতি গ্রহণ করে, যা তাদের নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১