তাদের যে কোনো কর্মী করোনা টিকা নেওয়া সম্পন্ন করেছেন এমন প্রমাণ দিতে পারলেই পেয়ে যাবেন এক হাজার ডলার। তবে শর্ত হচ্ছে এই সুযোগ ঘোষণার আগেই টিকা নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ডেলটা আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এই অবস্থায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ভ্যানগার্ডের এই উদ্যোগ সম্ভবত এই প্রক্রিয়ারই অংশ।
কর্মীদের টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে বিভিন্নরকম পদ্ধতি গ্রহণ করছে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। গুগল ও মাইক্রোসফট তাদের কর্মীদের জন্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। ওয়ালমার্ট ও উবার এই বাধ্যবাধকতা দিয়েছে শুধু উচ্চস্তরের কর্মীদের জন্য। আরেক বড় প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরক গত জুলাই থেকে টিকা গ্রহণ সম্পন্ন করা ছাড়া তাদের যুক্তরাষ্ট্রের কার্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। তবে আমাজন ও অ্যাপলের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও এই সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ভ্যানগার্ড মনে করে, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় সবাইকে টিকা দেওয়া। প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘টিকা প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতেই যে কর্মী টিকা গ্রহণের প্রমাণ দিতে পারবেন তাকে আমরা এই প্রণোদনা দিব। যারা টিকা নেয়ার মাধ্যমে নিজেকে, একে অপরকে এবং সমাজকে সুরক্ষিত করেছেন এই প্রণোদনা তাদের স্বীকৃতিস্বরূপ।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যানগার্ডের ১৬,৫০০ কর্মী রয়েছেন।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে দৈনিক গড় সংক্রমণের হার এখন সর্বাধিক। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা সিডিসি ঘোষণা দিয়েছে টিকা গ্রহণ করলেও জনসমাগম হয় এমন স্থানে মাস্ক পরতে হবে, যারা টিকা নিয়েছে তাদের জন্যও এটি প্রযোজ্য। নিউইয়র্কের কর্তৃপক্ষ রেস্তোরা, ব্যায়ামাগার ও দালানের অভ্যন্তরে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মীর জন্য টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করেছে সেপ্টেম্বর থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় টিকা গ্রহণের হার ক্রমহ্রাসমান। এরই প্রেক্ষিতে টিকা গ্রহণে মানুষকে আগ্রহী করতে কড়াকড়ি আরোপ করছে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে অনেক শ্রমিক ইউনিয়ন কর্মীদের উপর এমন বাধ্যবাধকতা আরোপের সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, টিকা নেয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১