মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম সাহিদ রেজাকে আগামী দু'বছর ব্যাংক খাতে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ব্যাংকটির পরিচালক পদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ জালিয়াতি করে পলাতক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বেনামি ঋণের ভাগ নেওয়ার তথ্য প্রমাণিত হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিল। গতকাল মঙ্গলবার তাকে চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
সাহিদ রেজা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার। ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দুই বছর মেয়াদে তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি মার্কেন্টাইল ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। তিনি রেজা গ্রুপেরও চেয়ারম্যান।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাহিদ রেজার বিরুদ্ধে ঋণ অনিয়মের উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চাইলে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আপিল করতে পারবেন।
পি কে হালদারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এমটিবি মেরিন, উইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল, কনিকা এন্টারপ্রাইজ ও গ্রীনলাইন ডেভেলপমেন্টের ঋণের টাকা একেএম সাহিদ রেজার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জমা হয়। ঋণের বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নেন তিনি। এমন প্রেক্ষাপটে তাকে গত ৬ জানুয়ারি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ফজলে কবির মঙ্গলবার তার অপসারণ আদেশে স্বাক্ষর করেন।
চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে একেএম সাহিদ রেজা বলেন, 'ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স থেকে আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়েছিলাম, নিয়মিতভাবে যা পরিশোধ করছি। তবে প্রতিষ্ঠানটি থেকে আমাকে দেওয়া ঋণের চেকের পেছনে অন্য কারও নাম ছিল। বিষয়টি আমি খেয়াল না করায় ফেঁসে গেছি।' বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'তেমন কিছু করলে আপনাদের জানাব।'
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১