বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। সর্বাত্মক লকডাউনে বিশেষ ব্যবস্থাপনা ব্যাংক, গার্মেন্টসসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত অফিসগুলো খোলা রয়েছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কর্মচারী পরিবহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত অনেকেই না মেনে কারাখানা খোলা রেখেছেন। যে কারণে কাজে যোগ দিতে বিকল্প ব্যবস্থায় নির্ভর হতে হচ্ছে সাধারণ কর্মজীবী মানুষকে। এ অবস্থায় রিকশা বা ভ্যানে করে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে।
নগরীতে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু দোকানপাট ছাড়া সবধরনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে পাড়া মহল্লার অলিগলির মুখে কর্মহীন মানুষকে বসে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। পুলিশের টহল টিমের গাড়ি আসলে থাকলে তারা পালিয়ে যাচ্ছেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
সকালে খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পুলিশের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। তাদের দায়িত্বপালন রত অবস্থায় রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন যোগে মানুষ চলাচল করছেন। তবে এসময় অকারণে বাসা থেকে বের না হতে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিংও করতে দেখা গেছে।
চৌধুরী পাড়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন আসমা বেগম। সকালে কারখানায় যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছেন তিনি। তবে কারখানা থেকে তাদের যাতায়াতের জন্য কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। আসমা বেগম বলেন, ‘মালিক কারখানা খোলা রেখে যাদি কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা না করেন তাহলে কর্মীরা কীভাবে কাজে যোগ দিবে? এখন লকডাউনেও যদি কাজে যোগ না দেই তাহলে চাকরি থাকবে না। সেকারণে রিকশা বা ভ্যান যেটাই পাই তাতে করে কারখানায় তো যেতে হবে।
বিজয় সরণী মোড়ে রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। সড়কে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইতে দেখা গেছে পুলিশকে। তবে অনেকেই খোঁড়া যুক্তি দিয়ে পুলিশের জেরা থেকে রেহায় পাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে রাজারবাগ, ফকিরাপুল, গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, শাহবাগ, মগবাজার, দৈনিক বাংলা, কাওরানবাজার এলাকায়।
ফকিরাপুলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, ‘মানুষের করোনার কোনও ভয় নেই। সরকার যা করছে তা তো মানুষের ভালোর জন্যই করছে। আমরা দায়িত্ব পালন করছি। অনেকেই খোঁড়া যক্তি দিয়ে আমাদেরকে বাসা থেকে বের হওয়ার কারণ বোঝানোর চেষ্টা করেন।’
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১