সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় কমেছে। এতে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের অফিসের কর্মঘণ্টা কমেছে। ভাগ হয়েছে জনবলও। নতুন সূচি অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোতে প্রতি তিন জনের বদলে একজন অফিস করছেন। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজার অনলাইন ও ইন্টারনেট সম্পর্কিত হওয়ায় অধিকাংশ কর্মকর্তাই এখন হোম অফিস করছেন। বিশেষ করে যেসব বিভাগে বাসায় বসে অফিস করার সুযোগ রয়েছে, তারা হোম অফিস করছেন। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে শুরু করে ব্রোকার হাউজগুলোতে এই নিয়ম মেনে কার্যক্রম চলছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘খুব প্রয়োজন ছাড়া আমরা কেউ অফিসে আসছি না। তবে হোম অফিস করছি। প্রয়োজনীয়রা শিফট অনুযায়ী ডিউটি করছেন।’ স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে এই একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, ‘ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বেশিরভাগ কর্মকর্তা হোম অফিস করছেন। এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ব্রোকারে হাউজগুলোকে। তাদের বলা হয়েছে, মোবাইল ফোন, মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের উৎসাহিত করতে। ব্রোকারেজ হাউজগুলো সেই অনুসারে কাজ করছে।’
ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে লেনদেন করছেন। ক্লায়েন্টদের ফোনে লেনদেনের অর্ডার দেওয়ার জন্য বলছেন। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বিনিয়োগকারীদের ব্রোকারেজ হাউজে আসতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১