সাইবার হামলা: কী ক্ষতি হতে পারে বাংলাদেশের

ব্যাংকবীমাবিডি || ২০২১-০৪-০২ ২২:০৩:৪৪

image

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধর করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জাহাঙ্গীর আলম প্রাইম ব্যাংক মির্জাপুর শাখার সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত। তিনি রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার ঝিকড়া গ্রামের আইন উদ্দিনের ছেলে। গুরুতর অবস্থায় তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ডিজিটাল যুগে সাইবার হামলা একটি আতঙ্ক। এর মাধ্যমে তথ্য চুরি করে হ্যাকাররা সুযোগ বুঝে ইন্টারনেট ব্যবহারকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে।  কখনও কখনও বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়। এবার দেশের সরকারি ও বেসরকারি ২০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য চুরি করেছে হ্যাকাররা।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিডি সার্ট।  প্রতিবেদনে বলা হয়, মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সার্ভারের মাধ্যমে স্পর্শকাতর এসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে হামলা করেছে হাফনাম হ্যাকারস গ্রুপ। তথ্য প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, মাইক্রোসফটের এই সেবাটি নিরাপত্তার দিক থেকে খুবই দুর্বল হওয়ায় সুযোগ নিয়েছে হ্যাকাররা।

এবার যেসব প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা হয়েছে এর মধ‌্যে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম। এর আগেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। এছাড়া বিটিআরসি, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, আইটি খাতের প্রতিষ্ঠান অগ্নি সিস্টেমস থেকেও সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে তথ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) পরিচালক (সিএ অপারেশন ও নিরাপত্তা) ও (ডাটা সেন্টার) তারেক এম বরকতউল্লাহ রাইজিংবিডিকে বলেন, এবারের সাইবার আক্রমণে বড় কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। তবে তাদের উদ্দেশ্যে ছিল তথ্য চুরি করা। আর তথ্য চুরি করার মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতে কোনো না কোনো সময় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারবে। এছাড়া তারা তেমন কিছু করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান আক্রমণের শিকার হয়েছে তারা কিভাবে সংক্রমণটা পরিস্কার করবে তার কৌশল রিপোর্টে বলে দেওয়া হয়েছে। এতে অতিচিন্তার কোনো কারণ নেই।

সাইবার হামলার খোঁজ পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ সার্ভার আক্রমণের শিকার হওয়ার পর আমরা খোঁজ-খবর নিতে শুরু করি। এরপর দেখা গেলো দেশের ১০টি খাত লক্ষ্য করে সরকারি বেসরকারি ২০০ প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ করেছে।

সাইবার আক্রমণ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান জানতে চাইলে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, রিপোর্টটি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে বলতে হবে।

সাইবার থ্রেড রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের যেসব প্রতিষ্ঠান উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমস বিশেষ করে মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সার্ভার (Windows Operating Systems specifically Microsoft Exchange Server) ব্যবহার করছে হ্যাকাররা তাদের আক্রমণ করেছে। হাফনিয়াম (HAFNIUM) হ্যাকররা এসব প্রতিষ্ঠান আক্রমণ করেছে।

অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com

ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১