৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা। এককভাবে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে সম্মিলিতভাবে ২৩ টাকা ৪৩ পয়সা আর এককভাবে ২৩ টাকা ৪৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরে ব্যাংকটির সম্মিলিত ও একক এনএভিপিএস ছিল যথাক্রমে ২১ টাকা ৯ পয়সা ও ২১ টাকা ২২ পয়সা।

সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ঘোষিত লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল বেলা ১১টায় ব্যাংক এশিয়া টাওয়ারে ও ডিজিটাল প্লাটফর্মে ব্যাংকের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ এপ্রিল।

সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ব্যাংক এশিয়ার সম্মিলিত ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয় ৬০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৮ পয়সা।

২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংক এশিয়া। ২০১৮ হিসাব বছরে মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় ব্যাংকটি। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এছাড়া ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার ব্যাংক এশিয়ার শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ১৭ টাকা ৮০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ১৭ টাকা ৭০ পয়সা। দিনভর শেয়ারটির দর ১৬ টাকা থেকে ১৯ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৬ টাকা ও ১৯ টাকা ৬০ পয়সা।

২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ব্যাংক এশিয়ার অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৬৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৮৬১। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৫১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৪ দশমিক শূন্য ৭, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক ২২ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ১০ দশমিক ৫৪, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৬ দশমিক ৭৪।