বাংলাদেশ ব্যাংকের শাহ আলম মাসে ২ লাখ টাকা নিত

ব্যাংকবীমাবিডি || ২০২১-০৩-২০ ০২:৩৭:৪৩

image

প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) কাছ থেকে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা নিতেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম। আর পিকের ক্ষমতার উৎস ছিলেন তৎকালীন ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী। আসামিদের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘুরেফিরে এসেছে এ দুজনের কথাই। এ ছাড়া পিকের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল ও নাহিদা রুনাইকে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা লোপাটের তথ্য পেয়েছে  দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অর্থনীতিবিদরা বলছেন- এ ধরনের দুর্নীতি বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরেই শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা দরকার।

এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নাম প্রশান্ত কুমার হালদার। হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পলাতক তিনি। তার অনিয়ম তদন্তে বেরিয়ে আসছে দুর্নীতির নানা অপকৌশল ও বেপরোয়া জীবন যাপনের বিষয়। যদিও পিকের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি এখনও রহস্যময়।

পিকে কেলেঙ্কারিতে এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিচারকের সামনে দেয়া এসব জবানবন্দিতে ঘুরে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম ও সাবেক ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরীর নাম। পিপলস লিজিংয়ের রাশেদুল হক তার জবানবন্দি বলেছেন, প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা নিতো শাহ আলম। আর এসকে সুর ছিলেন পিকের জাদুর কাঠি।

গত মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার কথিত বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল। গ্রেফতার হয়েছেন পিকের আরেক কথিত বান্ধবী নাহিদা রুনাই।

সময় সংবাদকে দুদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম জানান- এ দুজনকে (অবন্তিকা বড়াল- নাহিদা রুনাই) ব্যবহার করে ভুয়া ঋণ নেয়া এবং উপর মহলে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতেন পিকে। মূলত তাদের ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন কাজে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে প্রতি মাসে দুই লাখ করে টাকা দেওয়া হতো। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরীর সঙ্গে তার (পিকের) গভীর সম্পর্ক ছিল। পিপলস লিজিংয়ের রাশেদুল হক তার জবানবন্দিতে আরো বলেছেন, তার ক্ষমতার উৎস সম্ভবত এসকে সুর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা এ রকম দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করা না হলে আর্থিক খাতের দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে না বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।
 
তদন্তে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দুদক সংশ্লিষ্টরা বলছেন- পিকের দুর্নীতির পরিমাণ দশ হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে।

অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com

ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১