সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও নির্বাহী পরিচালক (ইডি) মো. শাহ আলম এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
একই সঙ্গে তারা ব্যাংকে কত টাকা লেনদেন করেছেন বা এসব হিসাবে কত টাকা জমা আছে, তাও জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। মঙ্গলবারের (১৫ মার্চ) মধ্যে এসব তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ নেয়ায় আলোচনায় আসেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান এ দুই কর্মকর্তা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাহিদার প্রেক্ষিতে বিএফআইইউ এই তথ্য চেয়েছে।
বিএফআইইউ’র চিঠিতে এস কে সুর চৌধুরী ও তার স্ত্রী সুপর্না সুর চৌধুরী, শাহ আলম ও তার দুই স্ত্রী শাহীন আক্তার শেলী এবং নাসরিন বেগমের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাদের সবার হিসাব খোলার ফরম, লেনদেন এবং স্থিতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের আর্থিকখাতে বহুল সমালোচিত পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের বর্তমান পরিচালকদের যোগসাজশে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী, বর্তমান নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। ইতোমধ্যে সুর চৌধুরী ও শাহ আলমের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এছাড়া রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার, কোম্পানির চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী, সাবেক এমডি ড. ইউসুফ খান, বর্তমান এমডি সামি হুদা, শেখর কুমার হালদার, সুকুমার মৃধা, অমিতাভ অধিকারী ও কাজী আহমেদ জামাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমের ছত্রছায়ায় অবৈধ ও দুর্নীতির মূল কাজগুলো করেন। একই ব্যক্তিরা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ফাস ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানিসহ অনেক কোম্পানির পরিচালক হিসেবে বহাল আছেন, যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনের পরিপন্থী।
অফিস : দক্ষিণ বনস্রী, ঢাকা। ই-মেইলঃ bankbimabd@gmail.com, editor.bankbimabd@gmail.com
ফোন: +৮৮০১৭১৮৬২১৫৯১