ঢাকা মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
দেশের মোট কর্মক্ষম জনসংখ্যার ১৭% ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক !
  • সম্পাদকীয়
  • ২০২১-০১-১০ ০৭:৩২:৫৯

অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। মাত্র ৪/৫ বছর আগেও শুনা যেত ইসলামী ব্যাংক কোটি গ্রাহকের ব্যাংক হতে যাচ্ছে। এখন সেটা অতীত। ব্যাংকটি খুব শীঘ্রই কোটি গ্রাহক ছাড়িয়ে ২ কোটিতে পৌঁছাতে যাচ্ছে ।

গতকাল ৯ জানুয়ারী থেকে দুই দিন ব্যাপী ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে। প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টরসের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান,সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। সম্মেলনে পরিচালনা পর্যদের অন্যান্য সদস্য ও ব্যাংকের উর্ধতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, ঢাকাস্থ চারটি জোনের প্রধান এবং দেশব্যাপী ১১টি ভেনুতে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে ভার্চুয়ালি অন্যান্য জোনপ্রধান ও ৩৭৩টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ সম্মেলনে অংশ নেন। 

সম্মেলন থেকে জানানো হয় গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ। দেশের ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৬০ শতাংশ কর্মক্ষম। সে হিসাবে ইসলামী ব্যাংকের মোট গ্রাহক সংখ্যা দেশের মোট কর্মক্ষম জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ। আরো জানানো হয়, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ২৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা । ২০২০ সালে ইসলামী ব্যাংক আমদানি, রফতানি বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স আহরণ করেছে যথাক্রমে ৪১ হাজার ৯০৫ কোটি, ২২ হাজার ৪৯৭ কোটি এবং ৪৮ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। ২০২০ সালে ব্যাংকের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স সংগৃহীত হয়েছে। রেমিট্যান্স আহরণে ইসলামী ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬০%।

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে প্রায় চার মাস ব্যাংক লেনদেন সীমিত পরিসরে নামিয়ে আনা হয়। এর ওপর সারা বছরই ঋণ পরিশোধের ওপর ছাড় দেয়া হয় ঋণ গ্রহীতাদের। পাশাপাশি বিনিয়োগের মুনাফার হার হঠাৎ করে ১ এপ্রিল থেকে ৯ শতাংশ নামিয়ে আনা হয়। সবমিলেই ব্যাংকিং খাতের জন্য বিদায়ী বছর ছিল অনেক চ্যালেঞ্জিং। এতে বেশির ভাগ ব্যাংকের মুনাফার প্রবৃদ্ধির ওপর ছেদ পড়ে যায়। আগের বছরের চেয়ে বিদায়ী বছরে বেশির ভাগ ব্যাংকের মুনাফাই কমে যায়। এর পরেও বরাবরের মতো বিদায়ী বছরে পরিচালন মুনাফার শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতে সর্ব্বোচ্চ পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে যার পরিমাণ দুই হাজার ৩১০ কোটি টাকা এবং প্রতি বছরের মত এবারও শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। 

ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে ৩৭৩টি শাখা, ১৬১টি উপশাখা, ২২৭৫টি এজেন্ট আউটলেট, ১৭৫২টি এটিএম/সিআরএম বুথের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করছে।

বিদায়ী বছরটি ছিল ব্যাংক খাতের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিংয়ের বছর। এর পরেও ইসলামী ব্যাংক মুনাফাসহ ব্যবসার সকল ক্ষেত্রে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। 

বাণিজ্যিক ব্যাংকের নামের শেষে ‘পিএলসি’, সুবিধা-অসুবিধা
পদোন্নতি হলোনা, কি করবেন
রাশিয়ার উপর নিষেধজ্ঞায় বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে প্রভাব