বাংলাদেশে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করতে হলে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তার মধ্যে গ্রাহক যে লেনদেন করবেন তার সেই তথ্য-উপাত্তের নিরাপত্তা, নিরাপদ লেনদেন এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া নিশ্চিত হতে হবে। দেশের ব্যাংকিং সিস্টেম এবং ডিজিটাল লেনদেনের নিরাপত্তার প্রশ্নে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত নয়। এছাড়া সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি) পরিচালনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা তৈরি করতে হবে। তবে এটি খুব একটা সহজ হবে না।
গতকাল ‘ডিজিটাল কারেন্সি: ইটস কনসেপ্ট, ইম্পর্টেন্স অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড টু ইন্ট্রোডিউস সিবিডিসি’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিশেষজ্ঞ তোহুরুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ জিয়া উল হক। এছাড়া প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর এফ হুসাইন, ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী, নগদের সিইও রাহেল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবর্ণা বড়ুয়া, ভিসা ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সৌম্য বসু। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ইউএনডিপি, এটুআই, বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন ও ক্যাবিনেট ডিভিশন। অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম সহযোগী ছিল বণিক বার্তা।
মূল প্রবন্ধে শাহ জিয়া উল হক বলেন, সিবিডিসি করতে হলে যৌথ রেগুলেটরি সাপোর্ট থাকতে হবে। এটি করতে গেলে ফ্রড, সাইবার হ্যাক ও আইনি জটিলতার ক্ষেত্রে কী সমাধান হবে সেটি নিশ্চিত হওয়া জরুরি। আবার যেসব কাস্টমারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই তাদের কীভাবে এর আওতায় নিয়ে আসা যাবে, তাও ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা যে প্রক্রিয়ায় এ সেবা চালু করা হবে, সেটি যেন কাস্টমার যখন চাইবে তখনই সহজে চালু করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করবে কিন্তু এর কার্যক্রম সরাসরি গ্রাহকের সঙ্গে। ফলে এখানে পুরো ব্যাংকিং প্রক্রিয়া পরিবর্তন হয়ে যাবে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত সরাসরি গ্রাহকের সঙ্গে কাজ করে না। এটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে করে থাকে। এটিও বিবেচনায় রাখতে হবে।