ঢাকা শনিবার, মে ১১, ২০২৪
ব্যাংকিং খাতে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মার্কেট শেয়ার বেড়েছে
  • ব্যাংকবীমাবিডি
  • ২০২১-০৬-২৪ ২২:২৬:৩৯

প্রচলিত ধারার দু’টি ব্যাংক পূর্ণাঙ্গ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকে রূপান্তরিত হওয়ায় ব্যাংকিং খাতে আমানত ও ঋণের দিক থেকে মার্কেট শেয়ার বেড়ে গেছে ইসলামী ব্যাংকগুলোর। ডিসেম্বর প্রান্তিকে এ দুই খাতে যেখানে মার্কেট শেয়ার ছিল সাড়ে ২৫ শতাংশ, মার্চ প্রান্তিকে তা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ২৭ শতাংশ। তবে রেমিট্যান্সের রেকর্ড ডামাডোলের মধ্যেও এ ব্যাংকগুলোর মার্কেট শেয়ার কমে সাড়ে ৪০ শতাংশ থেকে ৩২ শতাংশে নেমেছে।

ডেভেলপমেন্ট অব ইসলামিক ব্যাংকিং ইন বাংলাদেশ নামক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবেষণা বিভাগের ইসলামিক ব্যাংকিং সেল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশী-বিদেশী মিলে দেশে মোট তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকের সংখ্যা ১০টি, আগে যেখানে ছিল আটটি। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও গ্লোবাল ব্যাংক নতুন করে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তর হয়েছে। এর বাইরে আটটি প্রচলিত ব্যাংকের ১৯টি ইসলামী ব্যাংকিং শাখা এবং ১১টি ব্যাংকের ১৭৮টি ব্যাংকিং উইন্ডো রয়েছে। সব মিলে দেশে মোট ব্যাংকের ১০ হাজার ৭৬৭টি শাখার মধ্যে ইসলামী ব্যাংকিং শাখা রয়েছে এক হাজার ৫৫৮টি, যা মোট শাখার ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

মার্চ শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৫৭ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা, যা মোট ব্যাংকিং খাতের সাড়ে ২৭ শতাংশ। ডিসেম্বর প্রান্তিকে এটি ছিল সাড়ে ২৫ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানতের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে পৌনে ১০ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। মোট ১১ লাখ ৬৩ হাজার ২৬ কোটি টাকার ঋণের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ছিল তিন লাখ ২২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা, যা মোট ব্যাংকিং খাতের ২৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। ডিসেম্বর প্রান্তিকে এটি ছিল ২৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

এ দিকে ২ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়ায় করোনার মধ্যেও দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসছে। অথচ রেকর্ড ডামাডোলের মধ্যেও রেমিট্যান্সে মার্কেট শেয়ার কমে গেছে ইসলামী ব্যাংকগুলোর। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৪৭ হাজার ৯৪২ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, যা ব্যাংকিং খাতের ৩২ দশমিক ৮২ শতাংশ। ডিসেম্বর প্রান্তিকে রেমিট্যান্সে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মার্কেট শেয়ার ছিল ৪০ দশমিক ৫১ শতাংশ। আলোচ্য প্রান্তিকে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি কমেছে সাড়ে ২৬ শতাংশ।

মার্চ প্রান্তিকে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের (আইবিবিএল) মাধ্যমে ৮২.০২ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের ৪.৬২ শতাংশ, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের ২.৩৭ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২.২৬ শতাংশ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১.৮০ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংকের ১.৭০ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ১.৮৪ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংকের ০.৮২ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১.৭০ শতাংশ এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ০.০৩ শতাংশ। এর বাইরে ইসলামী ব্যাংকিং শাখাগুলোর ০.৫৭ এবং ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোর রয়েছে ০.২৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে ইসলামী ব্যাংকগুলোর খুব সতর্কতার সাথে বিনিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সাথে কর্মকর্তাদের আরো দক্ষ হতে বেশি প্রশিক্ষণ নেয়ার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংকিংঃ এমসিকিউ প্রশ্নোত্তর
ইসলামী ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
ব্যাংকিং খাতে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মার্কেট শেয়ার বেড়েছে